গাজা উপত্যকার প্রশাসনের কাছে ৩০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল। বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস নেতৃত্বাধীন গাজার প্রশাসন।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, এই হস্তান্তর সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, গাজায় আটক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েল মুক্তি দেবে বন্দি ফিলিস্তিনিদের এবং ফেরত দেবে নিহতদের মরদেহ। প্রতিটি মৃত জিম্মির বিনিময়ে ১৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেওয়ার শর্ত ছিল সেখানে।
চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার হামাস ইসরায়েলকে আরও দুই জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে। তার পরদিন, বুধবার সেই দুই জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ফেরত দেয় ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ।
গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েল মোট ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় পেশ করা হয় ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা, যা ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই গ্রহণ করে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি।
এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পরদিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। টানা দুই বছরের অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
যুদ্ধবিরতির পর তৃতীয় দিন অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর হামাস জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এরপর পর্যায়ক্রমে মৃত জিম্মিদের মরদেহও ফেরত দিতে শুরু করে গোষ্ঠীটি।