Sunday 28 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দিনের মতো তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০৪ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহিদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। ৩০ আসামির বিরুদ্ধে করা এই মামলায় রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মূল তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেলের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং অপর সদস্য জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় ২৫ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি তদন্তকালে কোথা থেকে, কখন এবং কীভাবে বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে— সে বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর তার জবানবন্দি শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষে উপস্থিত ও পলাতক আসামিদের পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত রয়েছেন- প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সাইমুম রেজা তালুকদার এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর তদন্ত সংস্থার রেকর্ড সংরক্ষণকারী এসআই মো. কামরুল হোসেন এবং বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা সাক্ষ্য দেন। এছাড়া ৯ ডিসেম্বর মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরার পাশাপাশি সমন্বয়কদের ‘সেফ হাউসে’ তুলে নিয়ে রাখার অভিযোগ এবং কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের ভূমিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ মামলায় এ পর্যন্ত ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা ৬২ জন। বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। সাবেক উপাচার্যসহ বাকি ২৪ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে ৩০ জুন অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াই পরিচালনার জন্য গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/টিএম/ইআ
বিজ্ঞাপন

আরো