ঢাকা: ‘সম্প্রীতি বজায় রাখা ও শান্তিতে বসবাস করা হোক সবার অঙ্গীকার’— জাতীয় জন্মাষ্টমী ২০২৫ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেছেন, এখানে কোনো ধর্ম, জাতি, গোত্রের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানান সেনাপ্রধান।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে রাজধানীর পলাশী মোড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে রাজধানীর পলাশী মোড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন| ছবি: সারাবাংলা
সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে যেভাবে আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পাহাড়ি, বাঙালি যেভাবে আমরা সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার থাকবে সেই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা বজায় রাখবো এবং এই দেশে আমরা সুন্দরভাবে বসবাস করবো। এখানে কোনও ধর্ম, জাতি, গোত্রের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন আছে। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো। এই দেশ সবার। আপনারা নিশ্চিন্তে এই দেশে বসবাস করবেন। আপনাদের যত ধর্মীয় উৎসব আছে উদ্যাপন করবেন আমরা একসাথে এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে এই জন্মাষ্টমীর দিনে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক। আমরা সবাই আপনাদের পাশে থাকবো। আপনারা নিশ্চিন্তে দেশে বসবাস করবেন। এই উৎসব সবসময় জারি থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের সাহায্য চান আমরা দিব।’
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ। এখানে আমরা ঈদ, পূজা সবই একসঙ্গে পালন করি। আজকের দিনে আমাদের সবার কিছু শিক্ষা নিতে হবে। ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য গড়ার শিক্ষা নিতে হবে।’
নৌ বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘জন্মাষ্টমী শান্তি সম্প্রতি ও মানবতার উদাহরণ। শ্রী কৃষ্ণের শিক্ষা আমাদের শান্তি, সাম্য, মানবতার শিক্ষা দেয়।
আজকের এ মিলনমেলা আমাদের সামাজিক বন্ধনকে শক্তিশালী করবে। লাখো শহিদের বিনিময়ে আমরা যে দেশ পেয়েছি এ দেশের শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
পরে প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে তিন বাহিনীর প্রধান জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পলাশীর মোড় থেকে শুরু হয় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বাহাদুরশাহ পার্কে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।