Thursday 20 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে হাসিনা ফ্যাসিবাদী হয়েছিলেন: জামায়াত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:১২ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২৯

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের কারণে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী চরিত্র অর্জন করেছিল মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ছিল। দীর্ঘ সুনানীর পর সেটার রায় হয়েছে। সেই রায়কে আমরা স্বাগত জানাই।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মগবাজারের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জোবায়ের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের কারণে শেখ হাসিনার সরকার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী চরিত্র অর্জন করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এই জাতি আন্দোলন করেছিল। এর মূল রূপকার ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে তাদের পরাজিত হওয়ার কোনো ইতিহাস নেই। তারা নির্বাচনকে ম্যানিপুলেশন করেন। পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন হয়, এজন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ ধরনের একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ১৯৮৩ সালের ২০ নভেম্বর প্রথম এ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। ২০২৫ সালের ২০ নভেম্বর আজকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট সেই কেয়ারটেকার সরকার পুনঃস্থাপনের জন্য রায় দিয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ও দেশবাসীকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’

জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবউদ্দীন সাহেবের যে কেয়ারটেকার সরকার ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারা করেছিলেন। এরপর ’৯৬ সাল পর্যন্ত আমরা সংসদে বিল দিয়েছিলাম। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ১৯৯৬ সালে সেই কেয়ারটেকার সরকার সংবিধানে আসে। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদিও ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কথা আছে। পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে, ম্যানিপুলেশন হয়েছে। তবে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এদেশে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন হয়েছিল। অপরদিকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে কি ধরনের নির্বাচন হতে পারে তা এই তিনটি নির্বাচন থেকেই বোঝা যায়। আমরা আশা করবো চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে এবং নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর