নোয়াখালী: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত এক রোহিঙ্গা নারীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সুধারাম থানায় কর্মরত নায়েক পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম (২৮) ও এক রোহিঙ্গা শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
রোববার (১ জুন) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা। এর আগে, গতকাল শনিবার (৩১ মে) বিকেলের দিকে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ভাসানচর থানার সাব পোস্ট মাস্টার ও ফেনীর পৌর দৌলতপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো.গিয়াস উদ্দিন (৫৩) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের মো.তারেকের স্ত্রী হাসিনা খাতুন (২৫)।
এদিকে নিখোঁজরা হলেন-সুধারাম থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (২৮) ও ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৬১ নম্বর ক্লাস্টারের মো.তারেকের ছেলে মো.তামিম (৩)।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবি: একজনের মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ ৫
জানা যায়, শনিবার বিকালের দিকে ভাসানচর থেকে চারজন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজি সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে ভাসানচর থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
হাতিয়া থানার ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। একজনকে উদ্ধারের পর মারা যান। রোববার সকালে লক্ষীপুরের রামগতি থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এক পুলিশ সদস্যসহ এখনো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।