পঞ্চগড়: জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি নির্বাচন হবে এ বাংলাদেশে। আমরা বিগত এক যুগ ধরে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন দেখিনি। সেই জায়গায় আমরা প্রত্যাশা করি যে, জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ দেওয়ার পরপরই যেন এই জুলাই মাসের মধ্যে মৌলিক যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন সেগুলো বাস্তবায়ন হয়।’
তিনি বলেন, ‘একটি সংস্কার হচ্ছে পুরো দেশের স্বার্থে কিছু মৌলিক সংস্কার। আরেকটি হচ্ছে, একটা স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকেন্দ্রিক আরেকটি সংস্কার। আমরা প্রত্যাশা করি যে, মার্চের মধ্যে এই সংস্কারগুলো সম্পূর্ণ হবে। কারণ এই অভ্যুত্থান পরবর্তী নির্বাচন যদি কোনোভাবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্রশ্নের সম্মুখীন হয় এটা পুরো অভ্যুত্থানকে একটি প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিবে এবং পুরো দেশের মানুষের যে একটা আকাঙ্ক্ষা সেটি নষ্ট হবে।’
শনিবার (৭জুন) সকালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় নিজ গ্রাম রাখালদেবী ঈদগাঁ মাঠে ঈদের নামাজ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে চাইবো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং স্পেশালি নির্বাচন কমিশন এই সংশ্লিষ্ট যারা বছরের পর বছর ধরে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তারা তাদের দায়িত্বের জায়গাগুলো থেকে সর্বোচ্চ আপোষহহীনভাবে ক্ষমতার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে এমনকি পেশী শক্তি কালো টাকার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন এবং দেশকে একটি স্বচ্ছ সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবেন।’
সারজিস বলেন, ‘এটি আমাদের জায়গা থেকে প্রত্যাশা করি তবে অভুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রের যেসব মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন সেগুলোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঐক্যমত কাজ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন আমরা মার্চের মধ্যে দেখতে পাই এবং একটি দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। যে খুনির নির্দেশে এতোগুলো হত্যাকান্ড হলো তার একটা বিচারের রায় যদি এই বাংলাদেশে নির্বাচন আগে না হয় তাহলে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবচেয়ে বড় দায়বদ্ধতার প্রশ্নের মুখে ফেলবে।’