ভারতের আহমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই পাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় একজন আরোহী বেঁচে আছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে পুলিশের বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
বেঁচে যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ (৪০)। তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তাকে আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বাস কুমার রমেশ ও তার ভাই অজয় কুমার রমেশ (৪৫) একই ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন। বিশ্বাস কুমারের আসন নম্বর ছিল ‘১১ এ’।
- আরও পড়ুন-
বিশ্বাস কুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র ৩০ তিরিশ সেকেন্ড পরেই বিকট শব্দ হয়, এরপরই বিধ্বস্ত হয়। সবকিছু এত দ্রুত ঘটে গেল। বিশ্বাস বুকে, চোখে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন উঠে দাঁড়ালাম, তখন আমার চারপাশে মৃতদেহ পড়ে ছিল। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি উঠে দাঁড়িয়ে দৌড়েছিলাম। আমার চারপাশে বিমানের টুকরো পড়ে ছিল। এরপর কেউ আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেল।’
জানা যায় স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, বিমানটি হঠাৎ করেই নেমে যাওয়ার সময় প্রায় ৮২৫ ফুট উপরে উঠে গিয়েছিল। পরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে গুজরাটের বি.জে. মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর পড়ে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটিতে ২৪২ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডিয়ান এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিও ছিলেন।