ঢাকা: ভুল বা অসত্য তথ্য দিয়ে শুণ্য রিটার্ন দাখিলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, ‘রিটার্নে আয়-ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত ভুল বা অসত্য তথ্য দিলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য নয়, বরং সচেতন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। আমরা নতুন কোনো আইন তৈরি করিনি, শুধু বিদ্যমান আইন সম্পর্কে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ সহকারী, অর্থ সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শূন্য রিটার্ন-ট্যাক্স দিলে ৫ বছরের দণ্ড, তাহলে কি আপনারা ধমক দিয়ে-ভয় দেখিয়ে ট্যাক্স আদায় করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই করদাতাদের ভয় দেখাতে চাই না। আমরা নতুন কোনো আইনও করিনি। আমরা একটা জিনিস দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় বসে, দোকানে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখানো হচ্ছে কীভাবে শূন্য রিটার্ন দেওয়া যায়। এটা কিন্তু বিপজ্জনক। সেই কথাটাই আমরা বলতে চেয়েছি। যখন আপনাদের ফাইলটা অডিটে পড়বে তখন আপনারা কোনো জবাব দিতে পারবেন না। কেননা সব তথ্যই মিথ্যা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অসত্য তথ্য যদি দেওয়া হয় সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেই বিষয়টাই আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি। আমরা বরং ট্যাক্স পেয়ারদের সুবিধার্থে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার লোক অনলাইনে ট্যাক্স দিচ্ছেন। এটা আসলে সচেতনতা তৈরি করার একটা অংশ। নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো ভয়ভীতির কিছু নেই। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য এটা করা হয়েছে। মানুষ যদি এটা না জানে তাহলেতো সে বিপদে পড়বে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দোকানগুলোতে শেখানো হচ্ছে কীভাবে শূন্য রিটার্ন দেওয়া যায়। এটা কিন্তু বিপজ্জনক। সেই কথাটাই আমরা বলতে চেয়েছি। যখন আপনাদের ফাইলটা অডিটে পড়বে তখন আপনারা কোনো জবাব দিতে পারবেন না। কেননা, সব তথ্যই মিথ্যা দেওয়া হয়েছে।’
এনবিআরে গণহারে বরখাস্ত ও ছাঁটাই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারী এনবিআর কর্মকর্তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে বলেছেন। আসলে এ রকম কোনো বিষয় কাগজে-কলমে বা অর্থ উপদেষ্টা বলেননি। আপনি যেটা বললেন সে অর্থে মেসিব কোনো কিছু হয়নি। যেসব অফিসার সীমালঙ্ঘন করেছেন, তাদের আমরা শোকজ করে অ্যাকশন নিচ্ছি। যেটা আপনারা বলেছেন, গণহারে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটেনি। সেটা আমরা করতেও চাই না।’