ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। গাজা সিটি ও শরণার্থী ক্যাম্পসহ পুরো অঞ্চল দখলের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে আরব ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে সমর্থন জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ সমর্থনের বিষয়টি জানান। ট্রাম্প বলেন, ‘অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করা এখন খুব কঠিন, কারণ হামাস তাদের বের হতে দেবে না।’
গত সপ্তাহে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজা পুনর্দখলের ঘোষণা দেন। এর পরপরই যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ এ পরিকল্পনার সমালোচনা করে। দেশগুলো জানায়, এতে গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। এছাড়া নতুন করে বড় ধরনের বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কাও তৈরি হবে।
এক্সিওস–এর প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি সমর্থনের কথা না বললেও হামাসের ওপর আরও সামরিক চাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলকে ঠিক করতে হবে তারা কী করবে। তবে আমি মনে করি, হামাস গাজায় থাকতে পারবে না।’
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হবে এবং অস্ত্র ফেলে দিতে হবে। কিন্তু হামাস বলেছে, যতদিন দখলদারিত্ব চলবে ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন তারা অস্ত্র ফেলবে না।
গাজা দখলের পরিকল্পনা নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মহলে এক অবিশ্বাস্য একাকিত্বের মধ্যে নিয়ে গেছে। গাজার যুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও উপত্যকাটিতে ক্রমবর্ধমান খাদ্যসংকট ও অনাহার বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের যুদ্ধের গ্রহণযোগ্যতাকে কমিয়ে দিয়েছে।