ঢাকা: পাকিস্তানের পণ্য বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।
এর মাধ্যমে দু’দেশের বেসরকারি খাতের সম্পর্ক আরো জোরাদারের সুযোগ তৈরি হবে- বলে মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এমন আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই রফতানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের উপর অধিকমাত্রায় নির্ভরশীল। দুই দেশেরই রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। সেদিকে দু’দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনোনিবেশ করা দরকার, এর মাধ্যমে রফতানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দু’দেশের পণ্য রফতানি বাড়াতে একযোগে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এছাড়া দু’দেশের কৃষি কাজ এবং পণ্য উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বাড়ানো গেলে এ খাতে বৈশ্বিক বিলিয়ন ডলারের বাজারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রফতানির সুযোগ তৈরি হবে।
সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া ইত্যাদি খাতে পাকিস্তান বেশ ভালো করছে- জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি ঔষধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য বেশ কার্যকর হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংষ্কৃতি ও জীবনাচরণের দিক দিয়ে দুদেশের মানুষের প্রচুর মিল রয়েছে এবং এদেশের মানুষের মাঝে পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষ করে জুয়েলারি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ সই হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সম্প্রসারিত হবে। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হলে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।