Thursday 21 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি ২৬ আগস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২৫ ২০:১৯

হাইকোর্ট।

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের পরিবর্তে সংসদের হাতে ন্যস্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগ থেকে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হলেও এ সংক্রান্ত রিভিউ আবেদনটি অনিষ্পন্ন থেকে যায়। গত বছরের ২০ অক্টোবর আবেদনটি নিষ্পত্তি হলে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত হয়। অতঃপর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু করে। কাউন্সিলের অন্য দুই সদস্য হলেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।

এর মধ্যে গত বছরের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতির বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি তাদের বেঞ্চ থেকে বিরত থাকেন। তাদের একজন (বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন) গত ৩০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া দুজন বিচারপতি (মো. আমিনুল ইসলাম ও এসএম মাসুদ হোসেন দোলন) হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন। গত বছরের ৩০ জুলাই তাদের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে আরও ছয় মাসের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি তাদের সেই বর্ধিত মেয়াদও শেষ হয়।

এ ছাড়া অপর দুজন বিচারপতি (মো. আতাউর রহমান খান ও আশীষ রঞ্জন দাস) এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন। এর মধ্যে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি নিজেদের চাকরিকালীন মেয়াদ পূর্ণ করে অবসরে যান।

এ রছাড়া সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর দুজন বিচারপতিকে অপসারণ করেন রাষ্ট্রপতি। এর মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে ২১ মে অপসারণ করা হয়। অপর পাঁচ বিচারপতির বিষয়ে বর্তমানে কাউন্সিলের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই পাঁচ বিচারপতির মধ্যে মো. আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে গত ২৩ মার্চ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি।

পরে ২৫ জুন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে তলব করা হয়। ১ জুলাই কাউন্সিলের সামনে হাজির হয়ে অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা দেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৬ আগস্ট তার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল।

সারাবাংলা/আরএম/এইচআই

বিচারপতি আখতারুজ্জামান শুনানি সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল