নোয়াখালী: জেলার হাতিয়া উপজেলায় চোর সন্দেহে লোকমান হোসেন (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তারেক আজিজ (৩৫) নামে একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে আটক করেছে। তবে পুলিশ বলছে, মারধরের পর আতঙ্কে ওই যুবক মারা গেছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.লোকমান হোসেন শেরপুরের চকপাড়ার সোনারপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের কর্মচারী ছিলেন।
আটক তারেক উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের চরহেয়া গ্রারে কামাল উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ঠিকাদারের কর্মী লোকমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা দুজনই শেরপুর জেলার বাসিন্দা। উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নে তারা তাদের ঠিকাদার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কাজ করার পর বেশ কিছু স্ক্রব বেঁচে যায়। পরে দুজন স্ক্রবগুলো উপজেলার চরহিয়া গ্রামের আসাদ নগর ত্রিমোহনীর একটি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে আসেন। বৃহস্পতিবার রাতে তারা তাদের বিক্রি করে আসা মালের ওজন জানতে আবার ভাঙারি দোকানে যায়। সেখানে স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তারেক আজিজসহ তিন ব্যক্তি ঠিকাদারের দুই কর্মীকে চুরির অভিযোগ দেয়। পরে দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করে বেঁধে মারধর করে। এক পর্যায়ে লোকমানকে লোহার রেঞ্জ দিয়ে হাতে,পিঠে আঘাত করে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম আজমল হুদা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দুজনকেই বাঁধা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক দুজনের বাঁধন খুললে লোকমান ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই সেখানে তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভয়ে মবের আতঙ্কে মারা গেছেন তিনি।
ওসি বলেন, ‘চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। পিঠে ছোট একটি দাগ আছে। আর কোনো আঘাত নেই। ভয়ে আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাক করতে পারে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।’