চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হওয়ার পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশা করছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী বক্তব্যে বলেন, ‘সরাসরি বিমান চলাচল কেবল মানুষের চলাচলকেই নয়, পণ্য আমদানি ও রফতানিকেও সহজতর করবে। এ বিষয়ে উভয় দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।’
এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে জাহাজ চলাচল আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করতে অত্যন্ত আগ্রহী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দৃশ্যপট সুযোগের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে।’
তিনি দুই দেশের কৃষি, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের সুযোগগুলো তুলে ধরেন।
সভায় জাম কামাল খান জানান, ২৪ আগস্ট দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে, যার লক্ষ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা।
বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘বাণিজ্যে বৈচিত্র্য আনা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের দেশ যতটা সম্ভব অন্য দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আশা করি উদ্যোক্তারা তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালাবেন।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করলেও দেশটিতে রফতানি মাত্র ৫৮ মিলিয়ন ডলার। পোশাক খাতের বাইরেও ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি এবং ডিজিটাল পরিষেবা, জাহাজ নির্মাণ, পাশাপাশি কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।’
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী, বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হুসেইন আকবর আলী, একরামুল করিম চৌধুরী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী ও প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম সারওয়ার সভায় বক্তব্য দেন।
পাকিস্তানি বাণিজ্য মন্ত্রী বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।