Friday 22 Aug 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মার পানি কমলেও দুর্ভোগে ১০ হাজার পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ আগস্ট ২০২৫ ২১:০৬ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৫ ২৩:০১

পানিবন্দি দশ হাজার পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তারা সুপেয় পানি, শুকনো খাবার ও গো-খাদ্যের সংকটে ভুগছেন। কাজকর্ম বন্ধ থাকায় বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সহায়তা তারা পাননি। এছাড়া পদ্মা নদীতে পানি কমার সঙ্গে নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও শিবগঞ্জের দুলর্ভপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়ি ও আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত, বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রমও।

বিজ্ঞাপন

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের পাঙ্খা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার কমেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই পয়েন্টে পদ্মার পানির ছিল ২০ দশমিক ২৮ মিটার। বিপৎসীমার ১ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এই নদীর পানি।

মহানন্দা নদীতে আজ শুক্রবার সকালে পানির ছিল ১৮ দশমিক ৮৯ মিটার। নদীটির পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । গত ২৪ ঘণ্টায় মহানন্দায় পানি কমেছে ১৯ সেন্টিমিটার। পুনর্ভবা নদীতে গত দিনের থেকে পানি কমেছে ১৭ সেন্টিমিটার। বর্তমানে নদীটিতে পানির স্তর রয়েছে ১৯ দশমিক ৪৮ মিটার। এই নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৭ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ।

শিবগঞ্জের দুলর্ভপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম বলেন, ‍‘২০-২২দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে পদ্মা পাড়ের মানুষ। নদীতে পানি কমছে ঠিকই, কিন্তু আমাদের দুর্ভোগ থেকেই গেছে। আমাদের পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পশু নিয়েও আছি দুশ্চিন্তায়।’

তিনি বলেন, ‘এখনো বাড়ির বাইরে গেলে নৌকার প্রয়োজন হয়। কিছু-কিছু বাড়ি থেকে পানি নামলেও অনেক বাড়ির মধ্যে পানি জমে আছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুরের বাসিন্দা সালাম বলেন, ‘চাহিদা অনুপাতে সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আমাদের আরো বেশি কষ্ট হচ্ছে । পদ্মা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় নতুন করে ভাঙন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে নারায়ণপুরের কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় ২৮ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৩০টি পরিবারকে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারকে আট বান্ডিল টিন ও ২৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।’

পদ্মা নদীর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব বলেন, ‘আশা করছি দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাবে। এখন কিছু কিছু এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওইসব এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে আমরা কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’

সারাবাংলা/এসএস

দুর্ভোগ পদ্মা পরিবার পানি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর