ঢাকা: পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও বহুমাত্রিক বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, পারস্পরিক সম্মান, সমঝোতা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাই। বিগত সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ইচ্ছাকৃতভাবেই পিছিয়ে রাখা হয়েছিল।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।
পরে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সরকার চায়, পাকিস্তানের সঙ্গে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে, যেমনটি অন্যান্য বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে রয়েছে। আজকের বৈঠকে আমি এবং পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভবিষ্যতের জন্য এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তানের সঙ্গে একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক হোক, এর বেশি কিছু না। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই সম্পর্ক এগোচ্ছে।’ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতার সঙ্গে চীনের ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্প্রতি যে বৈঠক ও দেশটির মন্ত্রীদের সফরের ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে, তা কি চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপাক্ষিক কাঠামোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘একেবারে এক শব্দে বললে- না। সম্পর্ক উন্নয়নের এই উদ্যোগ চীনের ত্রিপাক্ষিক প্রস্তাবের কারণে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থায় চীনের উৎসাহ আছে, পাকিস্তানেরও আগ্রহ আছে। কিন্তু আমরা বলেছি, ঠিক ত্রিপাক্ষিক নয়, আপনারা চাইলে চতুর্পাক্ষিক করেন। আরও দেশকে নিয়ে আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি।’
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমাদের অবস্থান এখনো একই আছে এবং তারা সেটা কগনিজেন্সে নিয়েছে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন কোনো উদ্যোগ হতে পারে।’