Wednesday 03 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করলে আফ্রিকার বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৬ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৫ ০৯:১৭

রোববার ঢাকায় এফবিসিসিআই’র সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক – (ছবি : এফবিসিসিআই)

ঢাকা: বাংলাদেশ-পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করলে আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার বিরাট বাজার ধরার সুযোগ তৈরি হতে পারে- বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে শুধু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নয়, ত্রিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিষয়েও জোর দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কে সংকট কাটিয়ে উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান এর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় দুই দেশের বাণিজ্য, শিল্প, খাদ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

সভায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশই বর্তমানে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। পর্যটন, সংস্কৃতি, শিপ বিল্ডিং, কন্সট্রাকশন, আইসিটি ইত্যাদি সহ অনেক খাতে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করতে পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানের খাতভিত্তিক ডেলিগেশন বাংলাদেশে আসবে বলে জানান তিনি।

চলমান সফরে বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি জাহাজ তৈরি করে। পাকিস্তানেরও জাহাজ আমদানি করতে হয়। এখানে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে নির্মাণ সামগ্রীও আমদানির সুযোগ দেখেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে জোরদার হচ্ছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার আরও সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক উন্নয়ন ও সম্ভাবনা বাড়াতে নতুন সুযোগ অনুসন্ধানে একসাথে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রচারে যৌথ সহযোগিতা, দ্বিপাক্ষিক এফটিএ-তে অগ্রিম গবেষণা, যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, আইসিটি, কৃষি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, এমএসএমই, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, পর্যটন, ফিনটেক, উচ্চ মূল্য শৃঙ্খল, টেক্সটাইল, পাট, ভোগ্যপণ্য, হালকা প্রকৌশল, অটোমোবাইল, সরবরাহ, পরিষেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে একসাথে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াতে উভয় দেশের উদ্যোক্তাদের নিয়ে সভা, সেমিনার আয়োজনে এফবিসিসিআই প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাত তথা ব্যবসায়ীদের বিরাট অবদান রয়েছে। ছোট-বড় সব ধরনের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়নে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে সম্পর্ক জোরদারে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ডেলিগেশন আদান প্রদান জরুরি। এজন্য দুই দেশের মধ্যে ভিসা সহজীকরণের আহ্বান জানান তিনি।

সভায় দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) চালু, পূর্বের মত বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের চা আমদানি ও পাটপণ্য আমদানির উপর জোর দেন বক্তারা।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী খোকন, আবুল হোসেন, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু), এফবিসিসিআই ইন্টারন্যাশনাল উইং এর প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল এর উপদেষ্টা ব্রিগ. জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদউল্লাহ, ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট এটাসি জেইন আজিজ প্রমুখ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

এফবিসিসিআই পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর