সিলেট: সিলেট জেলা প্রশাসক সরওয়ার আলম বলেছেন, ‘গোপনীয়তার জন্য সাদাপাথর লুটে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। লুটে জড়িতদের নাম প্রকাশ হলে তারা পালিয়ে যাবে। তবে যারা প্রকৃতি ধ্বংস করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আর নিরীহ কেউ যাতে শিকার না হয়, সে দিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সাদাপাথর পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিসি জানান, ‘এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বাকি অংশ প্রতিস্থাপনে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ শ্রমিক ও ৩০০ ট্রাক মাঠে কাজ করছে।’ তবে রিপ্লেসমেন্ট সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
‘লুট হওয়া পাথরের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মিস হয়েছে এবং ৬০-৭০ শতাংশ জব্দ করা গেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। প্রকৃতিকে একেবারে আগের মতো ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’
গ্রেফতারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জড়িতদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না গোপনীয়তার জন্য। তবে অপরাধীরা বাদ যাবে না। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
দুদকের রিপোর্ট প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তাদের তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।’
এর আগে দুপুরে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা আছে কি না তা খুঁজতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের গঠিত ৫ সদস্যের উচ্চতর তদন্ত কমিটি সাদাপাথর পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, সিলেটের সাদাপাথর এলাকায় চলমান উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় জমা দিয়েছেন।