যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলের গির্জায় প্রার্থনার সময় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ৮ এবং ১০ বছর বয়সী দুই শিশু নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। সকালে মিনিয়াপলিসের একটি ক্যাথলিক স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।
মিনিয়াপলিস শহরের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, সকালে এই মারাত্মক হামলায় আহত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই শিশু। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। কর্তৃপক্ষ এখনো হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারেনি। তবে তারা জানিয়েছে, রাইফেল, শটগান এবং পিস্তল নিয়ে হামলাকারী সন্দেহভাজন বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেছেন।
মিনিয়াপলিস পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটি নিরীহ শিশু এবং অন্যান্য উপাসনাকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা একটি ইচ্ছাকৃত কাজ ছিল। শিশুদের ভরা একটি গির্জায় গুলি চালানোর নিষ্ঠুরতা এবং কাপুরুষতা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ২০ বছর বয়সী এবং তার কোনো উল্লেখযোগ্য অপরাধের ইতিহাস নেই। হামলার সময় কালো পোশাক পরা বন্দুকধারী গির্জার বাইরে দাঁড়িয়ে জানালা দিয়ে গুলি চালায়, যখন স্কুলের শিশুরা গির্জার আসনে বসে ছিল। হামলায় কয়েক ডজন রাউন্ড গুলি চালানো হয়।
মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমাদের শিশু এবং শিক্ষকদের জন্য আমি প্রার্থনা করছি, যাদের স্কুলের প্রথম সপ্তাহটি এই ভয়াবহ সহিংসতার কারণে কলঙ্কিত হলো।’
স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিলড্রেন’স মিনেসোটা জানিয়েছে, তারা অন্তত পাঁচজন শিশুকে ভর্তি করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘মিনেসোটার মিনিয়াপলিসে ঘটে যাওয়া এই দুঃখজনক গোলাগুলির ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে। এফবিআই দ্রুত সাড়া দিয়েছে এবং তারা ঘটনাস্থলে রয়েছে। হোয়াইট হাউস এই ভয়াবহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে। দয়া করে এর সঙ্গে জড়িত সকলের জন্য আমার সঙ্গে প্রার্থনা করুন।’