ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ৫ আগস্টের পরে দেশের কোনো ক্যাম্পাসে বামদের গঠনমূলক কাজ দেখা যায়নি। তাদের কাজ শুধু অন্যের দোষ ধরা ও গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গগন হরকরা গ্যালারিতে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত “হাফেজে কুরআন সংবর্ধনা” অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র সাজিদ আবদুল্লাহসহ মোট ৩২৭ জন হাফেজকে সংবর্ধনা ও কোরআন শরিফ প্রদান করা হয়।
বামদের ‘মবক্রেসি’ প্রসঙ্গ সাদ্দাম বলেন, “তাদের মধ্যে একটা মবক্রেসি প্রবণতা আছে, যা তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে। মেঘমল্লার বসু বলেছেন—‘আমরা দশজন মানুষ নিয়ে গ্যাঞ্জাম করতে পারি, কিন্তু দশ হাজার মানুষ নিয়ে কেউ সেই গ্যাঞ্জাম করতে পারবে না।’ আসলে তারা এখন শুধু মব তৈরি আর গ্যাঞ্জাম করার জন্যই টিকে আছে।”
ছায়া প্রশাসনের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। নিজেদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ঢাকতে বামরা এমন ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়েছে। বরং প্রশাসন অনেক সময় তাদের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে।”
২০১৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেই সময় আমরা যখন আন্দোলন করেছি, তখন বাম ছাত্র সংগঠনগুলো আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে একজোট হয়ে তা ‘জঙ্গি’ ও ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছে। অথচ আমরা তখন পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলাম।”
শাপলা চত্বর ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সাদ্দাম বলেন, “গণহত্যার শিকার মানুষদের বিরুদ্ধে গিয়ে বামরা বলেছে—ওরা নাকি জঙ্গি ছিল। তারা অস্পষ্ট ও অসত্য বক্তব্যকে কবিতার মতো সাজিয়ে বলে, নিজেদের কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। কিন্তু ইসলামী ছাত্রশিবিরের নিজস্ব এজেন্ডা আছে, আমরা সেটি নিয়েই কাজ করি।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইবির সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল মান্নান, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।