চট্টগ্রাম ব্যুরো : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে অনুরোধ করবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট সভা শেষে রাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
অধ্যাপক সাইফুল বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করে এর কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে অনুরোধ করা হবে। সংঘর্ষের ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে ও সংঘর্ষে স্থানীয় নিরীহ মানুষের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হবে।’
‘সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাস এলাকায় মডেল থানা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হবে। যেসব ভবন বা কটেজে শিক্ষার্থীরা থাকেন, সেসব ভবন ও কটেজের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাসা ভাড়া কমানো এবং শিক্ষার্থী ও মালিকদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সেবা উন্নত করার জন্য দুইটি এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় ও ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে সরকারের কাছে দাখিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চবিকে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তর করার জন্য দশ তলাবিশিষ্ট ৫টি ছাত্র হল ও ৫ টি ছাত্রী হল নির্মাণের জন্য ডিপিপি প্রস্তুত করে সরকারের কাছে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যমান আবাসিক হলগুলো সংস্কার করে বসবাস উপযোগী করা এবং বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকা ও টহল কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।