রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি চাইলে তাকে মস্কোয় বৈঠকের জন্য স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন—শুধু বৈঠকের জন্য বৈঠক বসা অর্থহীন, আলোচনাকে অবশ্যই অর্থবহ ও ফলপ্রসূ হতে হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) চীনের বেইজিংয়ে দাওইউটাই রেসিডেন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, “যদি বৈঠক যথাযথভাবে প্রস্তুত হয় এবং ইতিবাচক ফলাফল আনে, আমি কখনোই তা প্রত্যাখ্যান করিনি। জেলেনস্কি প্রস্তুত থাকলে তিনি মস্কোয় আসতে পারেন এবং বৈঠক হতে পারে।”
পুতিন আরও জানান, গত মাসে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত রুশ-মার্কিন শীর্ষ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম এমন বৈঠকের প্রস্তাব দেন। তবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুতিনের ভাষায়, জেলেনস্কির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তার মেয়াদ বাড়ানোর কোনো সাংবিধানিক প্রক্রিয়াও ইউক্রেনে নেই।
অন্যদিকে, বুধবার ইন্দোনেশিয়ার পত্রিকা কমপাস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, রাশিয়ার প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে সংকট নিরসন। এ জন্য রাশিয়া নির্দিষ্ট পদক্ষেপও নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
ল্যাভরভ জানান, চলতি বছরের বসন্তে রাশিয়ার উদ্যোগে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় তুরস্কের ইস্তান্বুলে তিন দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে, যার মধ্যে বন্দি বিনিময় ও নিহত সেনাদের মরদেহ ফেরত দেওয়া উল্লেখযোগ্য।