ঢাকা: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার কবর ভাঙচুর ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে সংগঠনটি দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সংগঠনটির দফতর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের সই করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একদল লোক দরবার শরিফে হামলা চালায়। এতে কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি দরবারের ভক্ত, প্রশাসন ও পুলিশের অন্তত ৫০ জন আহত হন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রত্যাশা ছিল একটি ‘ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা, যেখানে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। অথচ এ ধরনের বর্বর ঘটনা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
সংগঠনটি অভিযোগ করে, সরকার এখনো পর্যন্ত এ ধরনের হামলা রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফলে কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য সহিংসতা সরকারের ব্যর্থতাকেই প্রতিফলিত করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট জানায়— অপরাধীরা যে দলেরই হোক, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।