মুন্সীগঞ্জ: জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বিষাক্ত স্পিরিট (এট্টি) পান করে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার কাঠাদিয়া গ্রামের আলামিনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বরপক্ষের আটজন আনন্দের অংশ হিসেবে মদ হিসেবে বিষাক্ত স্পিরিট (এট্টি জাতীয় কেমিক্যাল) পান করেন। এতে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত চারজন মারা যান এবং শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন— কাঠাদিয়া গ্রামের বাচ্চু বেপারী (৬৫), ইব্রাহিম মুন্সী (৭০), রহমত উল্লাহ বেপারী (৬৮), সদর উপজেলার নুর পুকুরপাড় গ্রামের আমির হোসেন (৬০) এবং মহাকালি ইউনিয়নের ঘাসিপুকুরপাড় এলাকার হোসেন ডাক্তার (৬৫)।
এছাড়া গুরুতর আহতরা হলেন— আলামিন সরকার (৪৫), সিজান বেপারী (২৬) ও আলদি গ্রামের জুয়েল (৪০)। এদের মধ্যে আলামিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নাম প্রকাশ না শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, গত বৃহস্পতিবার আলামিনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে একসঙ্গে বসে বিষাক্ত স্পিরিট (এট্টি) নামের কেমিক্যাল খায় আটজন।
ওই ব্যক্তি আরো বলেন, এট্টি মূলত ঘোড়া এবং গরুর খুঁড়ে ঘা হলে ওই ঘায়ে ব্যবহার করা হয়। এখন ওই ওষুধটি পানি দিয়ে মিশিয়ে খেয়ে নেশা করে লোকজন। ওই স্পিরিট খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে আটজন।
স্থানীয়দের আরও কয়েকজন জানান, অতিরিক্ত ও বিষাক্ত মদপানেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
কাঠাদিয়া-শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান স্থানীয়দের বরাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টঙ্গীবাড়ী থানা ওসি মহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ ভোরে একজন মারা গেছে এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় তিনজন, বাকি দুইজনের বাড়ি পাশের সদর উপজেলায়।