ঠাকুরগাঁও: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ গণতন্ত্রের যাত্রায় ফিরে না আসবে, গণতন্ত্র রেললাইনে চলা শুরু না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির শহিদ জিয়া, খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি নেতাকর্মী অতন্দ্রপ্রহরীর মতো জেগে থাকবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের যে প্রত্যাশিত নির্বাচন, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জনগণের রায়ে সরকার গঠনে সক্ষম হবে। আমাদের ৩১ দফার আলোকে বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য জীবন বাজি রেখে আমরা কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না, ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ধ্বংস করা হয়েছিল জবাবদিহিতার গণতন্ত্র। এভাবে ধীরে ধীরে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরে জনগণ এই দেশকে বাঁচানোর জন্য যখন রাজপথে নেমে এসেছিল। আমরা দেখেছি শুধু জনগণ না কোমল শিশুরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। শিশুসহ অনেককেই নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিজয় হয়েছে দেশের জনগণের। শুধু ক্ষমতা ছাড়া নয় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে তাদের, স্বেচ্ছাচারিতার পতন হয়েছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এখন মানুষের যে প্রত্যাশা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের ৩১ দফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই দেশকে জনগণের হাতে তুলে দিতে হবে।’
এদিকে সম্মেলনের উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এরপরে প্রথম অধিবেশন ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ২ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
দীর্ঘ ৮ বছর পর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েছিলেন। এর মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম শরিফসহ ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেছেন। সবশেষ সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফয়সাল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫১টি ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন পয়গাম আলী। অন্যান্য সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সকলকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার।
সম্মেলনে জেলার ৫টি উপজেলা এবং ৩টি পৌরসভার ৮০৮ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।