সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রকাশ সিলওয়ালের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে কেপি শর্মা জানান, বর্তমান সংকটের সাংবিধানিক সমাধানের পথ প্রশস্ত করার জন্য তিনি পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে, কারফিউ ভেঙে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের কার্যালয় এবং একাধিক শীর্ষ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এর একদিন আগেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে অন্তত ১৯ জন নিহত হন।

ছবি: রয়টার্স
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দেশটির সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, ফেসবুক-টিকটক নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবলমাত্র স্ফুলিঙ্গ—আসল ক্ষোভ জমে ছিল দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে।
বিক্ষোভের জেরে সরকারের অন্তত তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
গত সপ্তাহে ভুয়া তথ্য, প্রতারণা ও ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধের অজুহাতে নেপাল সরকার ২৬টি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে ছিল হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন ও ইউটিউব।
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে “জেন জি” আন্দোলন নামে প্রতিবাদ শুরু হয়। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু ও বিভিন্ন বড় শহরে হাজারো তরুণ-তরুণী ও শিক্ষার্থী নেমে আসে রাস্তায়।