উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ দেখা বা কারোর সঙ্গে বিনিময় করার দায়ে মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে কিম রাজবংশ গত এক দশকে জনগণের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-পরবর্তী সময়ে দেশটিতে সাধারণ ও রাজনৈতিক অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-ড্রামাসহ বিদেশি টিভি সিরিজ বিতরণের অপরাধে ইতোমধ্যে অনির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের উত্তর কোরিয়া বিভাগের প্রধান জেমস হিনান বলেন, ‘মানুষের চোখ ও কান বন্ধ রাখতে দমননীতি আরও শক্ত করা হয়েছে। এটি জনগণের সামান্যতম অসন্তোষকেও মুছে দেওয়ার কৌশল।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শিশুদের জোরপূর্বক শ্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। খনি ও নির্মাণশিল্পের মতো ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ‘শক ব্রিগেড’ নামে পরিচিত বিশেষ দলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। দরিদ্র পরিবারগুলোর সন্তানরাই মূলত এ দলে বাধ্য হয়ে কাজ করে থাকে।
জাতিসংঘ গত বছরই বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের জোরপূর্বক শ্রম দাসত্বের পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি উত্তর কোরিয়া বর্তমান পথেই এগোতে থাকে, তাহলে জনগণকে আরও ভোগান্তি, দমন-পীড়ন ও ভয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে।’
উত্তর কোরিয়ার জেনেভা মিশন বা লন্ডন দূতাবাস এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।