অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত পাকিস্তানের ১১ বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কে.জে.এস. ধিলন বলেন, ‘ভারত ১০ মে নিখুঁতভাবে পাকিস্তানের ১১টি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। সেদিন পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পারেনি। এটাই আমাদের বিজয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পারেনি। সেদিন বিকেলে পাকিস্তানের ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস) যুদ্ধবিরতির জন্য ভারতের ডিজিএমও-র কাছে প্রায় আকুল আবেদন জানায়। পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য আমেরিকা ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলোর কাছে মধ্যস্থতা চেয়েছিল, যেখানে ভারত তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরুদ্ধে তার অবস্থান বজায় রেখেছিল। এটাই আমাদের বিজয়।’
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত অপারেশন সিন্দূর শুরু করে। এই অপারেশনে ভারত পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে নির্ভুল হামলা চালায়, পাশাপাশি পাকিস্তানের আগ্রাসন প্রতিহত করে এবং তাদের বিমান ঘাঁটিগুলো বিধ্বস্ত করে।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে.জে.এস. ধিলন আরও জানান, অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসীম মুনির একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন এবং জনসমালোচনার হাত থেকে বাঁচতে নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করেন।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র সেনাপ্রধান যিনি অভিযানের সময় একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন এবং একমাত্র সেনাপ্রধান যিনি জনসমালোচনা এড়াতে নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করেছেন। তিনিই একমাত্র সেনাপ্রধান যিনি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে এসসিও (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন) বৈঠকে গিয়েছিলেন।’