ঢাকা: ভাষাসৈনিক, প্রখ্যাত কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক আর নেই। তার প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেওয়া হবে তার মরদেহ।
উল্লেখ্য, গুণী এই মনীষী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শাহবাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আহমদ রফিক। তার পিতা আবদুল হামিদ এবং মাতা রহিমা খাতুন এবং স্ত্রী ডা. এস কে রুহুল হাসিন।
আহমদ রফিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কৃতি উপদেষ্টাসহ দেশের বিশিষ্টজনেরা। শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আহমদ রফিক ছিলেন ভাষা আন্দোলনের এক অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন অনন্য কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্রতত্ত্ব চর্চার দিশারি। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে তার অবদান দুই বাংলায় সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, যা তার বিদগ্ধতার স্বীকৃতি।’
আহমদ রফিক শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রেখে গেছেন অমর অবদান। তিনি পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় তার অসামান্য অবদানের জন্য কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে প্রদান করে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।