Saturday 25 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চীন-বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্থায়ী সহযোগিতা বেড়েছে: শি জিনপিং

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট
৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:২০ | আপডেট: ৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩৫

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

ঢাকা: বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন। এ সময় শি তার বার্তায় উল্লেখ করেছেন, চীন এবং বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি এবং বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

অভিনন্দন বিনিময়ের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাষশ পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতাকে আরও গভীর করার এবং অভিন্ন উন্নয়নকে উৎসাহিত করার সুযোগ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। যাতে দুই দেশের জনগণের জন্য আরও ভালোভাবে কল্যাণকর হয় এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন নির্বিশেষে, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৫০ বছরে চীন এবং বাংলাদেশ সর্বদা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। একইসাথে দুই দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা এবং জয়-জয় সহযোগিতার উদাহরণ স্থাপন করেছে।

শি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চীন এবং বাংলাদেশ রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা সুসংহত করে চলেছে। এছাড়া উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রসারিত করেছে এবং তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর করেছে।

এই সময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, পাশাপাশি স্থায়ী সহযোগিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য চীনের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যবান সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তিনি বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের নেতা ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বেশি ফলাফল বয়ে আনবে।