বান্দরবান: বান্দরবানের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ সভাপতি আবু তালেব সিকদার কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এই ব্যক্তি গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী ছিলেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তণের পর তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে আশ্রয় নেন পাশ্ববর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায়। সম্প্রতি তার দায়ের করা মামলার আসামি হয়েছেন বিএনপি ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী।
আসামি তালিকায় রয়েছে তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ আমলে পুলিশের দায়ের করা ১৯ মামলার আসামি তোফাইল আহমদও।
এই বিষয়ে বিএনপি নেতা সাইফুদ্দিন বাহাদুর বলেন, রক্তপিপাসু আওয়ামী লীগের নেতা কিভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সাহস পায়, সেটি প্রশাসনের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এতে করে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে একটি মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক লীগ সভাপতি আবু তালেব সিকদার দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি ও তাদের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যেখানে ইন্দন জোগাচ্ছেন খোদ তার নিজ দলেরই কিছু নেতাকর্মী।
সম্প্রতি আবু তালেব সিকদার নিজে বাচাঁর জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি বিএনপির একটি গ্রুপে যোগ দেন নেয়। তার বিএনপিতে যোগদান ক্ষোভের জন্ম দিলে বিএনপির নেতাকর্মীসহসহ সাধারণ মানুষ তাকে ধাওয়া দেয়। এসময় ড্রেনে পড়ে আহত হন তিনি। তবে আবু তালেব সিকদার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ঘটনার ভিডিওতে দাবি করেছেন যে, তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইলের অনুসারীরা মারধর করেছে।
এই ঘটনায় আবু তালেব সিকদার বাদি হয়ে গত ৫ অক্টোবর বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ জানান, ভুয়া ও বির্তকিত কর্মকাণ্ডের কারনে আবু তালেব সিকদারের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ছিল। সর্বশেষ র্যাব ১৫ তাকে গ্রেফতার করে। তার বিব্রত আচরণে জেল-উপজেলা প্রশাসন বিরক্ত ছিল। অথচ গ্রুপিংয়ের সুযোগ নিয়ে এই শ্রমিক লীগ সভাপতি বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে দুঃসাহস দেখাচ্ছে।
জানা গেছে, শ্রমিক লীগ নেতা আবু তালেবের দায়েরকৃত মামলায় সাক্ষী হয়েছেন ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান মিজান, সদর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক জহির আহমদসহ ৫ বিএনপি নেতাকর্মী।