Sunday 12 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ৬ জনের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:৫৬

চুয়াডাঙ্গা: জেলার সদর উপজেলায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে রোববার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে ছয়জনের মৃত্যু এবং তিনজনের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) জামাল আল নাসের।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র গ্রামের মরহুম সামনের ছেলে লাল্টু (৪৫) ও একই গ্রামের মাঝেরপাড়ার নবীসদ্দিনের ছেলে শহীদ মোল্লা (৫০) ওই গ্রামের টাওয়ারপাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), একই উপজেলার খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), পিরোজখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার নবীসদ্দী ওরফে কাশেমের ছেলে লাল্টু (৩৮) এবং নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)। মৃত ব্যক্তিরা পেশায় দিন মজুর ছিল। এছাড়া, ডিঙ্গেদহ এলাকার আলিম উদ্দিন সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের জানান, রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসে দু’জন ব্যক্তি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমানকে তাদের এলাকায় মৃত্যু খবরটি জানায়। তখন তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে, তাদের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, যেসকল ব্যক্তি মারা গেছেন, হাসপাতাল থেকে দেওয়া তাদের মৃত্যু সনদে অ্যালকোহল পয়জনিংয়ে মারা গেছে বলে লেখা রয়েছে। হাসপাতাল থেকে এরকম ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরই মধ্যে চারজনের দাফন হয়ে গেছে। দু’টি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

জামাল আল নাসের জানান, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তারা একসঙ্গে অ্যালকোহল পান করে। কিন্তু সেটি যে বিষাক্ত ছিল তা তারা জানতো না। অনুসন্ধানে জানা যায়, সেই থেকে তারা অসুস্থতা বোধ করছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তাদের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত চলছে। তারা কোথায় থেকে ওই দ্রব্য কিনে পান করেছে, তা তদন্ত করে জানার চেষ্টা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিঙ্গেদহ এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কিছুদিন আগে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার গোলাম মওলার উপস্থিতিতে ওপেন হাউজ ডে তে এই এলাকায় রেক্টিফাইড স্প্রিরিটসহ মাদকদ্রব্য বেচাকেনার বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছিল। তখন সদর থানার ওসিকে এ ব্যাপারে তৎপর হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা আমলে নেননি। ওই সময় মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে এই মৃত্যুর ঘটনাটি এড়ানো সম্ভব ছিল।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর