চট্টগ্রাম ব্যুরো: ময়লা সংগ্রহের জন্য কোনো বাসা থেকে নির্ধারিত ৭০ টাকার বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলে সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে ‘ডোর টু ডোর’ কার্যক্রম নিয়ে এক সভায় মেয়র একথা জানান। সভায় ‘ডোর টু ডোর’ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নতুন নিয়ম ও এর কার্যকর প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা ছিল না। অনেকেই ইচ্ছেমতো টাকা নিত। এখন বাসা প্রতি সর্বোচ্চ ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে সেই প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। দোকান, শিল্প-কারখানার জন্য আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাসমান দোকান থেকে টাকা আদায় করা যাবে না, কারণ এগুলো অবৈধ।’
নগরবাসীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কিংবা আংশিক ভর্তুকিতে ‘ডোর টু ডোর’ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমে কয়েক মাস একটু লস হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে এবং জনগণ যদি বুঝতে পারেন যে, তারা সঠিকভাবে পরিষেবাটা পাচ্ছেন, তাদের ময়লা নিয়মিত অপসারণ করা হচ্ছে, তখন আর সমস্যা থাকবে না।’
সভায় মেয়র জানান, ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্প নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের সঙ্গে ২১ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মতবিনিময় সভা হবে। নগরবাসীর অভিযোগ ও পরামর্শ সহজেই গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠানে ‘আমাদের চট্টগ্রাম’ নামে নতুন একটি অ্যাপস উদ্বোধন করা হবে। এই অ্যাপে যে কেউ নালা-নর্দমা, ম্যানহোলের ঢাকনা, ডাস্টবিন বা খালের সমস্যা সংক্রান্ত ছবি আপলোড করে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
সভায় চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি উপস্থিত ছিলেন।