বগুড়া: জেলার আদমদীঘির সান্তাহারে নিজ মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে বাবা জিল্লুর রহমানকে (৪২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে আসামির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার জিল্লুর উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের লকু সিভিল পশ্চিম কলোনির মহুবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ বছর আগে জিল্লুরের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ভিকটিমের মাকে ২য় বিয়ে করেন। বিয়ের পরের বছর তাদের সংসারে জন্ম নেয় ওই কিশোরী (১৪)। গত রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কিশোরীকে নিয়ে তার মা পৌর শহরের মালশন গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। পরের দিন সোমবার বিকাল ৪টায় মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে তিনি একটি এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য নওগাঁ জেলা শহরে যান। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৫টায় কিশোরীর মা বাড়িতে ফিরে তার স্বামী ও মেয়েকে চুপচাপ দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তিনি মেয়ের মন খারাপের বিষয় নিয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসা করার পর জানতে পারেন, তার কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য বাবাকে বাঁধা দিলে তিনি চড়থাপ্পর ও মৃত্যুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এসব বিষয় জানার পর ওই দিন রাত ১১ টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। এরপর আদমদীঘি থানা ও সান্তাহার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত জিল্লুরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা তার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’