Tuesday 14 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে যেভাবে আগুন লাগে গার্মেন্টসে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৩৫ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৩৩

আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুপনগরের শিয়ালবাড়ির ৩ নম্বর সড়ক এলাকায় আগুন লাগার খবর পায় প্রথম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এরপর প্রথমে ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর একে একে ইউনিট বেড়ে ১২টিতে পৌঁছায়। রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত তবুও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস আগুন লাগার প্রকৃত কারণ বলতে না পারলেও রাসায়নিকের গুদামে আগুন থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রুপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকার ওই সড়কের একপাশে চারতলা একটি পোশাক কারখানা এবং তার উলটো দিকে সড়কের অপর পাশে একটি রাসায়নিকের গুদাম রয়েছে।

‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের ওই পোশাক কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ ইউনি‘। সেখানে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের রাসায়নিকের গুদামে। গুদামটি দোতলা, ওপরের তলায় টিনের ছাউনি। সেখানে অনেক ড্রাম ভরা রাসায়নিক ছিল। আগুন ছড়িয়ে পড়লে সেই গুদামে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন পোশাক কারখানার চার তলাতেই ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার পর পোশাক কারখানার অনেক কর্মী নেমে যান। তবে অনেকে আটকা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানো ও কারখানা থেকে লোকজনকে বের করে আনার কাজ শুরু করেন।

চারতলা ওই গার্মেন্টস থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলোর বেশিরভাগই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, রাসায়নিকের গুদামে ৬ থেকে ৭ ধরনের কেমিকেল মজুদ ছিল। সাধারণত আগুন ধরার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তাই পোশাক কর্মীরা বাইরে বের হতে পারেনি এমনকি ছাদেও যেতে পারেনি। এ জন্য তাদের মৃত্যু হয়েছে।