Thursday 16 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্ধারিত দিনে জুলাই সনদে সই না করলে পরেও সুযোগ থাকবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৪০

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ১৭ অক্টোবর নির্ধারিত অনুষ্ঠানে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ কোনো রাজনৈতিক দল সই না করলেও পরবর্তী সময়ে ‍সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আগামীকাল সবদলের স্বাক্ষর নেওয়া গেলে ভালো। তবে যদি কোনো দল পরবর্তীতে স্বাক্ষরের কথা বলে, তারা তো সনদ প্রক্রিয়ার অংশীদার—শরিক হিসেবে সেটা করতে পারবে। তবে কমিশন আশা করছে, সবাই একসঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশে সই করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি জানান, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই জাতীয় সনদে কমিশনের সদস্যরাও সই করবেন এবং সবার মধ্যে এর কপি বিতরণ করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া ও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না থাকায়’ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে সই করবে না— দলটির এমন অবস্থান সম্পর্কে কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গি কী? জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এনসিপির বক্তব্য কমিশন গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছে। তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রগামী শক্তি ছিল এবং সনদ প্রক্রিয়ায়ও সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। কমিশনও মনে করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়া জরুরি, এবং মেয়াদ থাকা অবস্থায় আমরা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেব।’

তিনি আরও জানান, কমিশনের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে যাতে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করা যায়। বাম দলগুলো সনদে সই না করার ঘোষণা দিলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তারা আলোচনার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবে।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘স্বাক্ষর করা এক অর্থে আনুষ্ঠানিকতা। কারণ, এই প্রক্রিয়ায় কার কী ভূমিকা ছিল, দেশের মানুষ তা দেখেছে। আলোচনা চলাকালে দলগুলো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অঙ্গীকার করেছে— এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় আয়োজন হলো জুলাই সনদ নিজেই। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বড় পরিবর্তন আসবে।’

তিনি জানান, শুক্রবারের অনুষ্ঠানে সনদ প্রণয়নের প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে ভিডিও প্রদর্শন করা হবে, এবং আগামী দুই মাস এ বিষয়ে আরও কাজ চলবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, আগামীকাল বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ সই অনুষ্ঠান। এতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উপস্থিতি প্রত্যাশা করছে ঐকমত্য কমিশন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক
১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০০:০৩

আরো

সম্পর্কিত খবর