ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ এর গণসংযোগ চলাকালে স্থানীয় যুবদলের ব্যানারে বিক্ষোভ করে গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলায় গাড়ি বহরের মধ্যে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে পরমানন্দপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় যুবদলের ব্যানারে একটি মিছিল এসে স্লোগান দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে বহরের শেষের দুটি গাড়িতে হামলা করে বিক্ষোভকারীরা।
দুটি গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, একটি গাড়ি এ.কে আজাদের বহরের এবং অন্যটি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ফরিদপুর সদর উপজেলার ইউনিয়নে যুবদলের কোন কমিটি নেই। পরমানন্দপুরে আমাদের কোন লোক এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।’
ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেন, ‘রাজনীতির এ সহিংসতার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকও এ জাতীয় আচরণ করেন নি। তবে এ জাতীয় আচরণ এলাকাবাসী প্রত্যাশা করেনি। এ সব ঘটনা রাজনৈতিক সংকটকে ঘণিভূত করবে। তিনি এ ঘটনার জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।’
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, ‘পরমানন্দপুরে আজ ছিল হাটের দিন। সেখানে এ কে আজাদ গণ সংযোগ করতে এসেছিলেন। অপরদিকে যুবদলের লোকজনও গণসংযোগ করছিল। এসময় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় চলে এলে এক সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে এ কে আজাদের গাড়ি বহরকে নিরাপদে সরিয়ে দিয়েছে। এসময় শেষের দুটি গাড়ী ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।