চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন চীনের এক নাগরিক। ঘটনা দেখে স্থানীয় লোকজন দুই ছিনতাইকারীকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বন্দর থানার বন্দর অফিসার্স কলোনি গেটের সামনে সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহমুদুর রহমান সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ছিনতাইয়ের শিকার চীনা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তিনি চীনের ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝেন না। এজন্য তিনি বাংলাদেশে কেন এসেছেন অথবা এখানে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি কিংবা অন্য কোনো পেশায় জড়িত আছেন কিনা, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ একজন পেশাদার দোভাষী ব্যবহার করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে জানান, চীনের ওই নাগরিক মূল সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তিনজন ছিনতাইকারী তাকে আটকে মোবাইল-টাকা কেড়ে নিচ্ছিল। তিনি বাধা দিলে ধস্তাধস্তির মধ্যে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে হাতেনাতে এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে। তাকে গণধোলাই দিয়ে সেখানে আহত অবস্থায় ফেলে রাখে।
আরেকজন ছিনতাইকারী পালানোর পথে আহত অবস্থায় চীনা নাগরিক তাকে ধাওয়া দেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিএআর জেটিগেটের সামনে ওই ছিনতাইকারীকে স্থানীয় লোকজন ধরে পিটুনি দেয়। তখন সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ছাড়া পুলিশ আহত চীনা নাগরিককে বন্দর শ্রমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশ আহত দুই ছিনতাইকারীকেও উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে অভ্যন্তরে চীনা নাগরিক ছুরিকাহত হয়েছেন বলে একটি প্রচারণা চলছে। বিভ্রান্তি এড়াতে আমরা এ বিষয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ব্যাখা দিয়েছি। এটা বন্দরের সংরক্ষিত এলাকার বাইরে সড়কের একটি ঘটনা।’
এদিকে এসি-বন্দর মাহমুদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘চীনের ওই নাগরিককে হাঁটুর নিচে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিল। তবে আঘাত বেশি গুরুতর নয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। আহত দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে আকাশ নামে একজনের অবস্থা একটু গুরুতর। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সাজ্জাদ নামে আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমাদের হেফাজতে দিয়েছে।’
চীনের নাগরিকের নাম-পরিচয় নিশ্চিতের পর মামলা করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।