Tuesday 28 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল ক্ষমতায়ন পর্যবেক্ষণে রাজশাহীতে গ্রামীণফোন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৭ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১২

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: ‘ডিজিটাল ইনক্লুশন ফর মার্জিনালাইজড কমিউনিটিজ’ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল ক্ষমতায়নের মাধ্যমে নিজেদের জীবন বদলেছেন রাজশাহীর প্রেমতলীর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তাদের জীবনের এ পরিবর্তন দেখতে গ্রামীণফোন, টেলিনর এশিয়া ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি এলাকাটি সফর করেছেন গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রামীণফোন, টেলিনর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর এ যৌথ উদ্যোগ এবং স্থানীয় পার্টনারদের সহযোগিতায় দেশজুড়ে ৩৩ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজিটাল সাক্ষরতা ও অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। গত ২০২৩ সাল থেকে এ উদ্যোগের আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ই-কমার্স, প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সফরকালে প্রতিনিধি দল একটি উঠান বৈঠকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। বৈঠকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকারীরা আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল স্বাক্ষরতার পাঠ নিচ্ছিলেন। এ সময় দলটি পূর্ববর্তী অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকেও অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা শুনেছেন। এ কর্মসূচি কীভাবে জীবনমান উন্নত করতে ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করেছে- অংশগ্রহণকারীরা তা তুলে ধরেন।

গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান জন ওমুন্ড রেভহাগ বলেন, ‘মানুষ যখন প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করে, তখন তার সামনে অগ্রগতি ও সুযোগের দরজা খুলে যায়। গ্রামীণ নারী ও তরুণদের গল্পগুলো প্রমাণ করে যে, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি কতটা রূপান্তরমূলক হতে পারে এবং সংযোগ কীভাবে জীবনের গতিপথ বদলে দিতে পারে। টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর ডিজিটাল অবকাঠামো আজকের জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। তাই অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সবার জন্য ডিজিটাল বিশ্ব উন্মুক্ত ও সহজলভ্য করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে, ডিজিটাল অগ্রগতি তখনই অর্থবহ হয় যখন তা সবার জন্য উন্মুক্ত হয়। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শেখার, বেড়ে ওঠার ও ডিজিটাল জগতে বিকশিত হওয়ার পথ তৈরি করছি। রাজশাহীর অভিজ্ঞতার গল্পগুলো প্রমাণ করে কীভাবে লক্ষ্যভিত্তিক ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে সত্যিকারের সামাজিক অগ্রগতিতে রূপান্তরিত করে। সংযোগের মাধ্যমে মানুষের ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোনের যে লক্ষ্য রয়েছে; এই অগ্রগতি তারই প্রতিফলন।’

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস বলেন, ‘অনলাইন জগৎ আমাদের সমাজেরই প্রতিফলন; যেখানে অনেকে, বিশেষ করে কিশোরী ও তরুণীরা, বুলিং ও হয়রানির শিকার হন এবং অনিরাপদ বোধ করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা প্রান্তিক তরুণদের নিরাপদভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সমর্থ করে তুলে এক বাস্তবিক সামাজিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ২৩ লাখ মানুষকে এই সুবিধার আওতায় আনা। তবে গ্রামীণফোন, টেলিনর, ইয়ুথ ফর চেঞ্জ ও স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোর আন্তরিক সহযোগিতার ফলে সে লক্ষ্য ছাপিয়ে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি আমরা। আমাদের অগ্রযাত্রা এখনো চলমান; যতদিন না ডিজিটাল ও সামাজিক পরিসর সবার জন্য আরও নিরাপদ ও সমতাপূর্ণ হয় ততদিন আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর