সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পালিত ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে’ ধনী দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর বুকে জেগে ওঠা নতুন চরে এই প্রতীকী স্ট্রাইকে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও শ্যামনগরের ১২টি স্থানীয় যুব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উৎসর্গ’র সভাপতি গাজী আব্দুর রউফ।
এ সময় অংশগ্রহণকারী অর্ধশতাধিক যুবক-যুবতী, শিক্ষার্থী, জলবায়ু যোদ্ধা, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী ‘ফ্রম শ্যামনগর টু দ্যা কপ-৩০’, ‘স্টান্ড ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’, ‘জাস্ট ট্রানজিশন নাও’, ‘ফিন্যান্স জাস্টিস ফর অল, ফুলফিল লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
শরুব এর নির্বাহী পরিচালক এস.এম জান্নাতুল নাঈমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শ্যামনগর ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি সাইফুদ্দিন সিদ্দিক, বারসিক এর ক্যাম্পেইন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক ফ্যাসিলিটেটর স.ম ওসমান গনী, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এর ফারজানা খাতুন, স্যোশাল অ্যাকশন ফর ইয়ুথ অ্যালায়েন্স এর সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, ইয়ুথ ফর সুন্দরবন এর সাধারণ সম্পাদক মুনতাকিমুল ইসলাম রুহানী, বনজীবী ইয়ুথ টিমের সভাপতি শামীম হোসেন, স্বপ্নচূড়া যুব ফাউন্ডেশন এর সভাপতি জাহিদ আনোয়ার সোহাগসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, অথচ এর জন্য দায়ী উন্নত ও শিল্পোন্নত দেশগুলো। বক্তারা চলমান কপ সম্মেলনে যোগ দেওয়া ধনী দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তারা আরও বলেন, ক্ষতিপূরণমূলক ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ বাস্তবায়নে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ন্যায্যতা, সমতা ও দায়বদ্ধতার নীতিতে চলেন, কারণ জলবায়ু সংকট এখন জীবিকা, অস্তিত্ব ও মানবাধিকারের প্রশ্নে পরিণত হয়েছে।