পিরোজপুর: পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নেন শতাধিক শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী আফরোজা তুলি, মো. মুঈন উদ্দীন মানজুর আজিজ, রাকিব আহমেদ ও ফিরোজ আহমেদসহ আরও অনেকে। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। মুখোশধারী সন্ত্রাসী যেভাবে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এসময় ছাত্রশিবিরের সভাপতি রাকিব মাহমুদ, সেক্রেটারি রেদোয়ানুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য ছাত্রনেতারা মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর কয়েকদিন পার হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা কলেজ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করে দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের একটি কক্ষে ঢুকে মুখ ঢাকা এক যুবক ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তার সঙ্গে থাকা আরেক ব্যক্তি পুরো ঘটনাটি ভিডিও করেন। ভিডিওটি দুপুরের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পর রাতেই কলেজের অধ্যক্ষ পান্না লাল রায় পিরোজপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, জিডির ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
এদিকে ভাইরাল ভিডিও বিশ্লেষণে ভাঙচুরে জড়িত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ সজিব। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তিসহ অন্যান্য সহযোগীদের পরিচয় শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।