কুমিল্লা: কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজনে লাগানো দৃষ্টিনন্দন বকুলগাছসহ অন্যান্য ৫০টির অধিক গাছ কেটে ফেলা এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. আজমির হোসেন (৩৭)। তিনি পেশায় চা-বিক্রেতা। তিনি বেলতলী এলাকার শিশু হাসপাতালের সামনে বসবাস করেন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোরে বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কার্যসহকারী রুহুল আমিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। ‘আবর্জনার মতো লাগে’—এমন মন্তব্য করে প্রায় অর্ধশত বকুলগাছসহ অন্যান্য গাছ একের পর এক কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে আজমির হোসেনের বিরুদ্ধে।
সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম জানান, মামলার পর রাতেই দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে ভোরের দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে।
সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গাছগুলো শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেই নয়; মহাসড়কে গাড়ির আলোর ঝলকানি থেকে বিপরীত দিকের যানবাহনকে রক্ষা করতেও রোপণ করা হয়েছিল। আমরা একই স্থানে দ্রুত নতুন করে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছি।’
জানা যায়, ২০১৬ সালে চার লেনে রূপান্তরিত হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত বিভাজনে ৫০ হাজারের বেশি ফুলজ ও ফলজ গাছ এবং পাশে আরও ৪০ হাজারের বেশি কাঠগাছ রোপণ করা হয়। বেলতলী এলাকা ছিল বকুলগাছের বর্ণিল সৌন্দর্যে মোড়া। তারই একটি অংশ কেটে ফেলায় হতাশ স্থানীয়রা।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, কেবল গাছ কাটাই নয়, পরিবেশ ও সৌন্দর্যবোধকে বিকৃত করার অপরাধে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।