ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির রায় দেওয়ায় ট্রাইব্যুনালের সামনে উল্লাস করছেন ছাত্র-জনতা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে মেতে উঠেন ছাত্র-জনতা।
এ সময় ‘এ মুহূর্তে খবর এলো, শেখ হাসিনার ফাঁসি হলো’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, শেখ হাসিনার ফাঁসি দে’- স্লোগান দিতে থাকেন জনতা।
উল্লাস প্রকাশ করে ছাত্র জনতা বলেন, ‘বিনা কারণে পাখির মত গুলি করে গণহত্যা চালিয়েছে শেখ হাসিনা। আলহামদুলিল্লাহ, শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে আমরা খুশি। দ্রুত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে এই রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’
দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু হয়। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়। আর ৯ কার্যদিনে চলে প্রসিকিউশন-স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক পাল্টা যুক্তিখণ্ডন। যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহিদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।