ঢাকা: শিশু অধিকার এবং তাদের মানসম্পন্ন জীবন বিষয়ে ইউনিসেফের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ইউনিসেফ বাংলাদেশের আমন্ত্রণে তাদের ঢাকা অফিসে ‘বাংলাদেশে শিশুদের ভবিষ্যৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুরক্ষা ও করনীয়’ বিষয়ক এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন এবং জামায়াত নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শিশির মনির। শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইউনিসেফের ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে আয়োজিত এ সভায় ইউনিসেফের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রিপ্রেজেনটেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স।
আলোচনা সভায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশুদের সাম্প্রতিক অবস্থার ওপর গবেষণার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়। গবেষণায় বলা হয়-বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে মাত্র ১৫ শতাংশ -২০ শতাংশ প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান ডেলিভারি (অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম) প্রয়োজন হয়; কিন্তু বাস্তবে, হাসপাতালে/ক্লিনিকে ৭৫ শতাংশ মা সিজার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এটি শুধু জনস্বাস্থ্যের জন্য সংকট নয়, বরং একটি বৃহৎ সামাজিক ও অর্থনৈতিক চাপও সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া জানানো হয় যে, প্রায় ৩১ শতাংশ শিশু অষ্টম শ্রেণিতে পৌঁছানোর আগেই ঝরে পড়ে-যা একটি জাতির ভবিষ্যৎ বিকাশে বড় বাঁধা ও হুমকিস্বরূপ। শিশুদের সঠিক পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় মিয়া গোলাম পরওয়ার স্পষ্টভাবে বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের আসন্ন ইশতেহারে শিশুদের ভবিষ্যৎ, অধিকার, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
আমরা বিশ্বাস করি-সুস্থ, শিক্ষিত ও নিরাপদ শিশুরাই গড়ে তুলবে একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা শিশুদের অধিকার রক্ষা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কার, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সিজারিয়ান বার্থের (অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্ম) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কমানোর লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেন।