নীলফামারী: ‘জামায়াতে ইসলামী জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে এ কথা বলা আমাদের কিছু রাজনৈতিক বন্ধুদের অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়’ মন্তব্য করেছেন নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী মোটরসাইকেল শোডাউনের আগে ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। র্যালিতে প্রায় ৩ হাজার মোটরসাইকেল অংশ নেয়। শোডাউনটি ডোমার উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই মাঠে এসে শেষ হয়।
মাওলানা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল ও আদর্শিক সংগঠন। এটি নিছক কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় দল নয়। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহর আইন বাস্তবায়নই জামায়াতের মূল লক্ষ্য। জান্নাতে যাওয়ার কথা বলা, কী আমলে জান্নাত লাভ করা যায়-এসবই কুরআন ও হাদিসভিত্তিক দিকনির্দেশনা। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক বন্ধু এসব না বুঝে বলেন- জামায়াত জান্নাতের টিকিট বিক্রি করে; এটি তাদের অজ্ঞতার ফল।’
তরুণদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজ এখন দুর্নীতি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাগ্রত। বাংলাদেশ ৫৪ বছর পার করলেও এখনো দুর্নীতিমুক্ত হয়নি, সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আজকের মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত আরও শক্তিশালী করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে এই আসনে যারা সংসদ সদস্য ছিলেন, প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই জাতি এখন বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজছে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে হলে দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তির হাতেই নেতৃত্ব দিতে হবে।’
শোডাউন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-নীলফামারী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জেলা প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি প্রভাষক ছাদের হোসেন, ডোমার উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল হাকিম, ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা মজিবুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা কর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ র্যালিতে অংশ নেন। র্যালি শেষে আবার ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।