কুমিল্লা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তুচ্ছ কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কার্যালয় এবং রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগার।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের বিজয়কড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জগন্নাথ ইউনিয়নের বিজয়করা এলাকায় বিএনপি সমর্থক আরব হোসেন রাজুর ফেসবুক পোস্ট ও স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সভায় ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়’–এর প্রতিবাদে জামায়াত সমর্থকরা বিকেলে জগন্নাথদীঘির পাড়ে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদে আলোচনা করতে যান। এসময় উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে কয়েকজন উত্তেজিত কর্মী স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের মাঝে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রফিক মেম্বার ও তপনসহ ৮–১০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এই ঘটনায় বিএনপি সমর্থক আরব হোসেন রাজুর বাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। পরে ছাত্রদলের আরেকটি গ্রুপ জামায়াত সমর্থক ইসমাইল হোসেনকে কুপিয়ে আহত করে। অপরদিকে জগন্নাথে হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের খালেদ সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে রাজার বাজার ইসলামী পাঠাগার ভাঙচুর করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসাইন বলেন, ‘বিএনপির কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং দুটি স্থান ভাঙচুর করেছে। শান্ত চৌদ্দগ্রামকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার চাই।’
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজু বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দিতে একটি মহল পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। জামায়াতের হামলায় আমাদের ৮–১০ জন আহত হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’