ঢাকা: ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ডা. শামসুল আলম মিলনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারেক রহমান।
শহিদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (২৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
স্ট্যাটাসে তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে অকুতোভয় শহিদ ডা. মিলনের আত্মদান হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছিল। তার রক্তের বিনিময়ে ৯ বছরের স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হয়। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা ছিল ডা. মিলনের দৃঢ় অঙ্গীকার, যা বাস্তবায়িত হয়েছিল তাঁর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।’
এই পথ ধরেই দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে তারেক রহমান লেখেন, ‘এরপর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের নবযাত্রা শুরু হয়।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘পতিত আওয়ামী সরকারের গত ১৬ বছরের শাসনামলে মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করা হয়েছিল। দেশের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল জনগণের কাছ থেকে। তবে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জয়যাত্রায় নতুনভাবে স্বাধীনতা ফিরে পেলেও দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত এখনো চলছে।’ কিন্তু জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘শহিদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।’ বার্তার শেষাংশে তিনি ডা. মিলনসহ সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।