ঢাকা: আগামী নির্বাচন ঠেকাতে বিভিন্ন মহল থেকে বাধা সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে- বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান।
তিনি বলেন, তবে এসব বাধা কোনোভাবেই সফল হবে না—‘নির্বাচন হবেই’। দেশের গণতন্ত্রকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৯৯০ সালের নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলেছে, আর সেই সময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে লক্ষ্য নিয়ে ডা. মিলন, নূর হোসেন, জিহাদরা রক্ত দিয়েছিলেন—সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
বিগত সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্লো পয়জনিং’-এর মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেননি। উদ্দেশ্য ছিল তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া।
আলোচনা সভায় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট শাসকের জন্ম হবে না। ভবিষ্যতে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে ছাত্রদলই প্রতিহত করবে—ডা. মিলনের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ ডা. মিলনের মা সেলিনা আক্তার। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়েই সংগ্রাম করেছিল তার ছেলে। মানুষের কল্যাণে মিলন আজীবন কাজ করতে চেয়েছিল। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে আন্দোলন নতুন গতি পেয়েছিল।
উল্লেখ, আজ দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে শহীদ ডা. মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শহীদ হন তিনি।