Monday 01 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইসিইউ ফাঁদ
ঢামেক থেকে ভাগিয়ে নেওয়া হচ্ছে রোগী, জড়িত কর্মচারীরা

সোহেল রানা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩২

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ফাইল ছবি

ঢাকা: গতবছরের ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হলেও পালটায়নি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিত্র। আগের মতোই দেদারছে চলছে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে শুরু করে ট্রলি, হুইলচেয়ার ও বেড বাণিজ্য। কারণ, নেতৃত্ব পালটালেও পালাটায়নি হাসপাতালের নেতা ও স্টাফদের মানসিকতা। বরং, বেড়েছে বহিরাগতদের দৌরাত্ম আর দখলবাজি। আর এগুলোতে সেল্টার দিচ্ছে নতুন নেতৃত্ব।

জানা গেছে, ২০২৪ সালে সরকার পতনের পর কয়েক দফা ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক-নার্স বদলি হলেও বদলি করা হয়নি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পদ পালটিয়ে শুরু করেছে নতুন ব্যবসা। জরুরি বিভাগের সামনের ফুটপাতে অবৈধ দোকান বেড়েছে তিনগুণ। যদিও এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি দোকান থেকে টাকা নেওয়া।

বিজ্ঞাপন

জড়িত যারা

’২৪ সালের আগে ঢামেকের আইসিইউসহ বিভিন্ন ব্যবসা ও দালালির সঙ্গে জড়িত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতা রাশেদ, সাবিত, শুভ, ইমন, হেদায়েতসহ অনেকেই। আর এগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিত হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমনকি মাঝেমধ্যেই হাসপাতালের চত্বরে দালালদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষও হতো। তখন প্রশাসন ও হাসপাতালের আনসাররা থাকতো নির্বিকার। কিন্তু, সরকার পতনের পরও থেমে নেই হাসপাতালে নৈরাজ্য, মারামারি ও আইসিইউ ব্যবসা। এখনো মাঝে-মধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে দালালদের দুই গ্রুপের মারামারি চোখে পড়ে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ করেই ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে একদল লাঠিসোটা নিয়ে কয়েকজনের ওপর হামলা করে। পরে জানা যায়, এদের এক দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলের বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা শাহাদত গ্রুপের, আরেক দল ঢাকা মেডিকেল ইউনিট যুবদলের নেতা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী ইমন গ্রুপ। হামলার পর এ বিষয়ে দেন-দরবার চলে ঢাকা মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী অফিসে। সেখানেও দুই দল মারামারিতে জড়ায়। এতে আহত হন ইমনসহ কয়েকজন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে সেখানেও দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের-ই কয়েকজন আহত হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইমন অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী ও যুবদল নেতা। বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউতে রোগী ভাগানোর জন্য তার কয়েকজন লোক হাসপতালে কাজ করে। তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে বলে, ‘আমরা ইমনের লোক!’ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইমনকে হাসপাতালে সেল্টার দেন চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির নেতারা।

ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে ইমরান নামে এক দালালের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। সারাবাংলাকে তিনি জানান, কলেজগেইটে প্রাইম ক্লিনিকে রোগী ভাগানোর কাজ করেন। ঢাকা মেডিকেলে তাকে সেল্টার দেয় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ী ইমন ও নাসির। এছাড়া, মালিবাগে অবস্থিত বিএনকে হাসপাতালের মার্কেটিংয়ের হান্নান এখন ঢামেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তার সঙ্গে আছে শরিফ মোল্লা।

যেভাবে রোগী ভাগানো হয়

সবাই জানে, সর্বশেষ ভরসাস্থল হিসেবে সারা দেশ থেকে মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেলে। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই আইসিইউ সাপোর্টের দরকার হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যা। এ কারণে অনেক রোগীই আইসিইউ পান না। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে ৮৬টি আইসিইউ এবং ৩০টি হাই-ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) রয়েছে। এর মধ্যে নন-কোভিড আইসিইউ ৩২টি, কোভিড আইসিইউ ১০টি, নবজাতকের জন্য এনআইসিইউ ৩৮টি এবং পেডিয়াট্রিক (শিশু) আইসিইউ আছে ছয়টি।

রোগীদের তুলনায় ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউয়ের সংখ্যা খুবই কম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের একটি অসাধু চক্র মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে রোগীদের পাঠিয়ে দেয় বেসরকারি হাসপাতালে। চক্রে জড়িত আছে বহিরাগত কিছু দালাল, সরকারি-বেসরকারি আম্বুলেন্সচালক, ঢামেকের কর্মচারী, আনসার সদস্য, ওয়ার্ড বয় ও ট্রলিম্যান। মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে আসার পর তার স্বজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর প্রথম উদ্যোগটা নেন ঢামেকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মচারীরা। যখন রোগীর স্বজনরা রাজি হয়, তখন ফোনে সব ঠিক করে ফেলে। এছাড়া, বহিরাগত দালালরা ২৪ ঘণ্টা শিফটিং ভিত্তিতে ডিউটি করে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, ভাগিয়ে নিতে পারলেই রোগীপ্রতি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা পান বিশেষ কমিশন। যতদিন রোগী ওই হাসপাতালের আইসিইউতে থাকবে, ততদিন দৈনিক অন্তত দুই হাজার করে টাকা পকেটে ঢুকবে। অন্যদিকে, যে দালাল রোগী পাঠাবেন, হাসপাতাল বিলের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পাবেন তিনি। হাসপাতালের কোনো কর্মচারী যদি রোগী পাঠান প্রাথমিকভাবে তাকে হাসপাতাল থেকে ‍দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনেক সময় রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে আট থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পান তারা।

ঢামেকের অধিকাংশ কর্মচারী দীর্ঘদিন একই ওয়ার্ডে আছেন। এ কারণে তারা আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পান। দালালদের সঙ্গেও তাদের একটা সখ্য গড়ে ওঠে। ঢামেক থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার ঘটনা এখন ওপেন সিক্রেট। চিহ্নিত দালালদের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফ, সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের যোগসাজশে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।

যেসব হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়া হয়

ঢামেক থেকে সাধারণত যেসব বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে আছে- ধানমন্ডি উইমেন্স চিলড্রেন হাসপাতাল, চাঁনখারপুলের রয়েল কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল, মোহাম্মদপুরের ইস্টার্ন কেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা হেলথ কেয়ার হাসপাতাল, ধোলাইপাড় ডেল্টা হাসপাতাল, ধানমন্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হাসপাতাল, রেমেডি কেয়ার হাসপাতাল, আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল (শ্যামলী), ধানমন্ডি নিউ লাইফ হাসপাতাল, আইসিইউ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, পান্থপথের ইউনিহেলথ হাসপাতাল, রিলায়েন্স হাসপাতাল (গ্রিন রোড), মাদার কেয়ার (ধানমন্ডি ২৭), হসপিটাল ২৭ প্লাস, ঢাকা ট্রমা সেন্টার (শ্যামলী), রাশমনো স্পেশালিস্ট হাসপাতাল (মগবাজার ওয়ারলেস গেট), প্রশান্তি হাসপাতাল (রাজারবাগ), কিওর স্পেশালিস্ট হাসপাতাল, বিওসি হাসপাতাল (পান্থপথ), মদিনা হাসপাতাল (যাত্রাবাড়ী), ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালিস্ট হাসপাতাল (মাতুয়াইল), প্রো অ্যাকটিভ হাসপাতাল (সাইনবোর্ড), রেনেসাঁ হাসপাতাল (ধানমন্ডি জিগাতলা), বিএনকে হাসপাতাল (শান্তিবাগ) ও প্রাইম হাসপাতাল (কলেজগেট)।

কেস স্টাডি

চলতি বছরের এপ্রিলে রিতু (১২) নামে এক শিশুকে স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। ওই সময় শিশুটির খিচুনি হচ্ছিল। তখন আস্তে আস্তে সে অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় জরুরি বিভাগে ট্রলিতে কাজ করছিলেন মিঠুন বসু নামের দৈনিক ভাতাপ্রাপ্ত এক কর্মচারী। তিনি ওই রোগীকে ডাক্তার দেখিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে দেন। চিকিৎসক রোগীকে দেখে জানিয়ে দেন, এই রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন। তখন ওই মিঠুন বসু ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউ সিট খালি নাই দেখিয়ে মগবাজার ডিএমকে হাসপাতালে পাঠায়। রোগীর স্বজনদের জানায়, সেখানে দু’দিনে ১৬ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু রোগীর স্বজনরা ওই হাসপাতালে গিয়ে পড়েন বিপাকে। তিন ঘণ্টায় ১৮ হাজার টাকা বিল করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

মুঠোফোনে কথা হয় রোগী বড় বোন তানিয়া আক্তারের সঙ্গে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ি নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায়। সকালে হঠাৎ করে রিতুর খিচুনি শুরু হয়। তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। সেখানে পোশাক পরা শার্টের উপরে লেখা মিঠুন, সে আমাদের ডাক্তার দেখায় এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। পরে চিকিৎসক জানান, রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন। তখন মিঠুন নিজেই অ্যাম্বুলেন্স করে মগবাজার ডিএমকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মিঠুন আমাদেরকে বলে দুইদিনে ১৬ হাজার টাকা খরচ হবে। মিঠুন নিজেই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমাদের মগবাজরের ওই হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং সেখানে নামিয়ে দিয়ে চলে আসে। ওই হাসপাতালে আমাদের তিন ঘণ্টায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মচারীদের কেউ কেউ জানান, মিঠুনসহ অনেকেই এই কাজে জড়িত। জরুনি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার ও সর্দারদের প্রশ্রয়ে তারা এ কাজ করছে। জরুরি বিভাগের কিছু অ্যাম্বুলেন্সের চালকও দালালদের সঙ্গে জোট হয়ে কাজ করে। এমনকি হাসপাতালের স্টাফরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগের তির যাদের দিকে

৫ আগস্টের পর হাসপাতাল কতৃপক্ষের সহযোগিতায় জরুরি বিভাগের সামনে বেআইনিভাবে ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি’ নামে একটি অফিস খোল হয়। এই অফিস খোলার পর থেকে জরুরি বিভাগের সামনে দালালদের দৌরাত্ম আরও বেড়েছে। এবং এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মাধ্যমে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যান। আমি এসব বিষয়ে জড়িত না। আমি কোনো রোগীর সঙ্গে আইসিইউর বিষয়ে কথাও বলি না। যদি আমার সামনে পড়ে তাহলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করি।’

আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিতরা যা বলছেন

এর আগে র‍্যাব ও যৌথবাহিনী কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন দালালকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। কিন্তু, জেল থেকে বেরিয়ে আবারও একই কাজে যোগ দিয়েছে তারা। তবে, এ চক্রের মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে।

হাসপাতালে দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, হাসপাতালে অসংখ্য দালালের আনাগোনা। সরকারি স্টাফরা টাকার বিনিময়ে এই দালালদের আশ্রয়-প্রশয় দেয়। মধ্যরাতে হাসপাতাল চত্বরে বহিরাগত দালালদের দৌরাত্ম বেশি থাকে। বহিরাগত দালাল, হাসপাতালের সরকারি স্টাফ ও দৈনিক ভাতাপ্রাপ্ত কর্মচারী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের মালিকদের সঙ্গে যোগসাজস করে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোগী ভাগানোর কাজ করা হয়।

যা বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

হাসপাতালের জরুরি বিভগের ওয়ার্ড মাস্টার মো. আইয়ুব আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘রোগী আইসিইউতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা আমি শুনেছি। কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর তাকে অন্য ওয়ার্ডে বদলি করা হয়েছে। এরকম হাসপাতালের স্টাফ অথবা দৈনিক ভাতাপ্রাপ্ত কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে আইসিইউর জন্য গুরুতর অসুস্থ রোগী আসে। ভর্তি রোগীদেরও আইসিইউ দরকার হয়। সেক্ষেত্রে তাদের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আইসিইউ দেওয়া হয়। আইসিইউ ফাঁকা থাকে না। এমনকি এক সপ্তাহেও কোনো শয্যা ফাঁকা হয় না। এই সুযোগেই হয়তো কিছু প্রতারক রোগী অন্যত্র নিয়ে যায়। এর আগে কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিযে অনেক দালাল ধরে সাজা দিয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। রোগীর সঙ্গে প্রতারণা করা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এমনকি রোগীদের সুবিধার্থে প্যাথলোজি, রেডিওলোজিসহ অনেক বিভাগ আলাদা করা হয়েছে।’ এমনকি টিকিট কাউন্টারগুলো আলাদা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার বায়ু 'খুব অস্বাস্থ্যকর'
১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০২

আরো

সোহেল রানা - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর