মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত একটি শান্তি পুরস্কার জিতেই নিলেন। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠানের সময় ফুটবল সংস্থাটি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথম বারের মতো ‘ফিফা শান্তি পুরস্কার’-এর বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই পুরস্কারজয়ী খুব একটা বিস্ময়কর ছিল না। ফিফা এক মাস আগে যখন এই পুরস্কার তৈরির ঘোষণা করে, তখন জানায় এটি এমন ব্যক্তিদের দেওয়া হবে যারা ‘শান্তির জন্য ব্যতিক্রমি ও অসাধারণ পদক্ষেপ নিয়েছেন’, তখন থেকেই ট্রাম্পকে এর সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল।
পুরস্কারটি বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এতে একটি আগে থেকে রেকর্ড করা ভিডিও মন্টেজ দেখানো হয়। এই ভিডিওতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি ট্রাম্পের কূটনীতি নিয়ে আলোচনার ক্লিপ তুলে ধরা হয়।
ধারাভাষ্যকার ট্রাম্পের প্রশংসা করে জানান, তিনি ‘যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে’ সাহায্য করেছেন। তার প্রেসিডেন্সিকে এমন একটি হিসেবে বর্ণনা করা হয় যা বিশ্বজুড়ে শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টা দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়েছিল।
পুরস্কার নেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, ‘এটি সত্যিই আমার জীবনের অন্যতম সেরা সম্মান। পুরস্কারের বাইরে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা লাখ লাখ জীবন বাঁচিয়েছি। কঙ্গো এর একটি উদাহরণ। সেখানে ১ কোটিরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, এবং খুব দ্রুতই আরও ১ কোটি মৃত্যুর দিকে যাচ্ছিল। আমরা যে হস্তক্ষেপ করতে এবং এটি থামাতে সাহায্য করতে পেরেছি, তা নিয়ে আমি খুব গর্বিত। ভারত-পাকিস্তানসহ আরও অনেকগুলো সংঘাত আমরা শেষ করতে পেরেছি, কিছু ক্ষেত্রে তো সেগুলো শুরু হওয়ার আগেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা হয়তো দেরি হচ্ছিল, কিন্তু আমরা তা সম্পন্ন করেছি। এবং জিয়ান্নির (ইনফান্তিনো) সঙ্গে থাকতে পারাটা দারুণ সম্মানের। আমি জিয়ান্নিকে এত দীর্ঘ সময় ধরে চিনি। তিনি অবিশ্বাস্য কাজ করেছেন, এবং আমাকে বলতেই হবে, আপনি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন। টিকিটের বিক্রি, যদিও এখন তা উত্থাপন করার সময় নয়, তবুও এটা আপনার এবং ফুটবল খেলার জন্য একটি চমৎকার সম্মান। এই সংখ্যাগুলো কারও ধারণার বাইরে, এমনকি জিয়ান্নিও যা ঘটতে পারে বলে বিশ্বাস করেননি তারও বাইরে।’
ট্রাম্পের নাম খোদাই করা ট্রফির পাশে দাঁড়িয়ে ইনফান্তিনো জোরালো ভাষায় প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করেন।