চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, একজনের বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে একই বাড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে বৈঠকে উঠে আসে জমিজমার বিরোধের প্রসঙ্গ। আর এতেই ঘটে এ হত্যাকাণ্ড।
এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা স্থানীয় একটি হোটেলে লুকিয়ে থাকা ছুরিকাঘাতকারীকে আটক করেছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নাজিরহাট রেলস্টেশন এলাকায় মুছা সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রবিউল ইসলাম বাবু (৪২) মুছা সওদাগর বাড়ির জহুর আহমেদের ছেলে। গ্রামে তার বিকাশ এজেন্ট, মোবাইল রিচার্জের একটি দোকান ছিল বলে জানা গেছে।
আর ছুরিকাঘাতকারী মো. জসীম উদ্দিন (৪৮) একই বাড়ির মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ির এক সদস্যের বিয়ের আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে রাত ৮টার দিকে বৈঠক চলছিল। এ সময় জসীম ও রবিউলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জসীম রবিউলকে ছুরিকাঘাত করে। আহত রবিউলকে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সময় রবিউলকে রক্ষা করতে গেলে তার ভাই ইমরুল হোসেন বাচ্চু ও চাচাতো ভাই ইমনকেও (২১) ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। তাদের নাজিরহাটে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর জসীম পালিয়ে এলাকার আজমীর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানে ঢুকে ভেতর থেকে দরোজা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় লোকজন ওই দোকানের সামনে জড়ো হয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। পুলিশ গিয়ে তাকে ওই দোকান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে বাধা দেয়। এ সময় তারা জসীমকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিতে উদ্যত হয়। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা গিয়ে রাত ১২টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিয়ের আলোচনায় প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে জসীম জমিজমার বিরোধ নিয়ে কথা বলা শুরু করে। জসীম তার জমি দাবি করলে রবিউলের সঙ্গে তার ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে জসীম ঘর থেকে ছুরি এনে রবিউলকে আঘাত করে।’